‘হামলার শিকার হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা’
বাম সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। তাদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার শাহজাদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছনা করে বহিরাগত বাম সন্ত্রাসীরা। এই খবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কানে পৌঁছালে তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে একত্রিত হয়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঢাকা উত্তরের উপনির্বাচন
--------------------------------------------------------
এতে আরও বলা হয়, উদ্ধারকালে বাম সংগঠনের নেতা কর্মীরা ন্যাক্কারজনকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়েদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত বাম সন্ত্রাসীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য ছাত্রলীগ দুই পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু এতে বাম সংগঠনের সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করে।
এই হামলায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিশীতা ইকবাল নদী, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব হলের সভাপতি বেনজির হোসেন নিশি, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব হলের রনক জাহান রাইন, বেগম রোকেয়া হলের সভাপতি বি.এম লিপি আক্তার ও বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম, শামসুননাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, শামসুননাহার হলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াস ইসলাম শান্তা, ইশরাত জাহান তন্বী, জেরিন দিয়া, বিষিকা দাসসহ অনেকে আহত হয়েছে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিটিতে দাবি করা হয়।
আহতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
কে/এসএস
মন্তব্য করুন