বিএনপির মরা গাঙে আর জোয়ার আসবে না: কাদের
মানুষ ২০০১ সালের রক্তপাতের কথা ভুলে যায়নি। তাই বিএনপির মরা গাঙে আর আন্দোলনের জোয়ার আসবে না। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মীসভায় কাদের একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির সেই অন্ধকারে আর মানুষ ফিরে যাবে না। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। তারপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারা সারাদেশে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উঞ্চরাঞ্চলের মঙ্গা বঙ্গবন্ধু কন্যা এখন জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। এ অঞ্চলের রিকশা চালক থেকে শুরু করে দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি মানুষ এখন মোবাইল ব্যবহার করে। বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, পাসপোর্ট, ভিসা ফর্মের জন্য এখন আর শহরে যেতে হয় না। গ্রামেও এখন ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। বর্তমান সরকার বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছে।
নারীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে ঘরে বন্দি রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের দুই কোটি ৩৯ লাখ ভোটার তরুণ ও নারী। তারা আগামী নির্বাচনে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তাই নারী ও তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগের সদস্য না করার নির্দেশনা দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন এমপির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, লালমনিরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল, সফুরা বেগম রুমী এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন