দেশি ও ভারতীয়- দুই পেঁয়াজেরই আধিপত্য এখন বাজারে। ভারত দাম কমানোই একদিকে আমদানি বাড়ছে, আরেকদিকে ভরা মৌসুমে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সমাহার। আর তার সুবাদে অনেকদিন পর এ বাজারে স্বস্তি পাচ্ছে গ্রাহকরা।
রাজধানীর পাইকারী বাজারগুলোতে এ সপ্তাহে পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।গেলো সপ্তাহে যা ১৭০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত ছিল। সে হিসেবে এক কেজি পেঁয়াজের দাম চলে এসেছে আবারও ৩০ এর কোঠায়।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ীর পাইকারী বাজারসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। যখন ভারতীয় আমদানি পেঁয়াজের দর ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ এবং দেশি পেঁয়াজের উত্তোলন ভালো হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে। গেলো সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা কমেছে। পাইকারী বাজারে দাম কমায় তার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায় খুচরা বাজারগুলোতে।
শুক্রবার কয়েকটি খুচরাবাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ছিল ৩২ থেকে ৩৬ টাকা। তবে কিছু কিছু বাজারে আগের সপ্তাহের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়।
অথচ দুই মাস আগেও ঢাকায় এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা।
এদিকে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেবে শনিবার খুচরা বাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। গেলো মাসে যা ছিল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ধরা হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
বনশ্রীর এম খন্দকার বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কমে গেছে তা শুক্রবার বাজারে গিয়েই টের পেলাম। আর তার সুযোগেই কয়েক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।ভাবছি আরও কিছু কিনে রাখবো।
যাত্রাবাড়ীর পাইকারী বাজার থেকে শুক্রবার ১৮০ টাকায় এক পাল্লা পেঁয়াজ কিনেছেন সালাউদ্দিন মাহমুদ। তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে অবশেষে মনে হয় স্বস্তি এলো। দাম কম হওয়ায় এক পাল্লা কিনেছি।
আরও পড়ুন:
- বাংলাদেশে মডেল সিটি নির্মাণে সহায়তা করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া
- ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে খেলাপি ঋণ ৮০ হাজার কোটি টাকা!
এসআর