বিমানে আমরা যথেষ্ট বিনিয়োগ করে চলেছি, কিন্তু বিমান এখনো তেমন ভালো সেবাদান করতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারেনি। বিমানকে সরকারি সংস্থার পরিবর্তে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার উদ্যোগটি আমার মনে হয় এ প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। এছাড়া, ২০১৯ সালের মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ সংগ্রহ ও ২টি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আইসিটি খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা
--------------------------------------------------------
অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ বেসামরিক বিমান চলাচল, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আঞ্চলিক বিমানবন্দরসমূহের সক্ষমতা ও সেবা সুবিধা বৃদ্ধির কাজ অব্যাহত রেখেছি। পিপিপি’র আওতায় খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে ৫ লাখ কোটি টাকা। এই অংকের বাজেট মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ২০ শতাংশের কিছু বেশি। বাজেটে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার মূল এডিপিসহ মোট উন্নয়ন খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৮৭ হাজার ১৩১ কোটি যাবে বেতন ভাতা সুদ পরিশোধসহ অন্যান্য অনুন্নয়ন খাতে।
আরও পড়ুন :
- বিমানকে সরকারি সংস্থা থেকে বাণিজ্যিক করা উচিত : অর্থমন্ত্রী
- তৈরি পোশাক খাতে আয়কর বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
এমসি/জেএইচ