বাংলাদেশি নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিএসএফ সদস্য বরখাস্ত
মৈত্রী এক্সপ্রেসের এক বাংলাদেশি নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফ জানায়, নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত জওয়ান ভিরানা ভাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় পূর্ব রেলের সঙ্গে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে।
গেল সোমবার সকালে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার পর মৈত্রী এক্সপ্রেসের এ-১ বগির এক বাংলাদেশি নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে যাত্রীর স্বামী লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
জানা যায়, অভিযোগকারী নারী যাত্রীর সঙ্গে তার স্বামী, ছেলে এবং দেবর ছিলেন। ১৯ জানুয়ারি তারা ভারত বেড়াতে আসেন। সোমবার ফিরে যাওয়ার সময় কেবিনের বাথরুমে গিয়েছিলেন ওই নারী যাত্রী। সেখানেই বসে ছিলেন অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান। নারী যাত্রী বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর বিএসএফ সদস্য তার শ্লীলতাহানি করেন। এসময় বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করারও ভয় দেখান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই সদস্য।
কলকাতার চিত্পুর স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর দমদম ও ব্যারাকপুরের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ প্রদানকারী ওই নারী বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। পরে স্বামী ট্রেনের মধ্যেই টিকিট পরীক্ষক (টিটিই)- কে জানান। কিন্তু ওই টিকিট পরীক্ষক তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেন। পরে তারা গেদে স্টেশনে নেমে স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের পর সেই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে যায় রেল, বিএসএফ, জিআরপিসহ বিভিন্ন এজেন্সিগুলোর মধ্যে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, ভারতী রেল পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে রেল সুরক্ষা বাহিনী এবং রেল পুলিশ থাকলেও এখন ট্রেনটির গোটা যাত্রাপথেই নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে বিএসএফ।বিএসএফ ৯৯ নাম্বার ব্যাটেলিয়নের ২০ জন জওয়ান মৈত্রী এক্সপ্রেসে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকে।
এমসি / এমকে
মন্তব্য করুন