জিম্বাবুয়ের রানের চাপায় শ্রীলঙ্কা
জিম্বাবুয়ের সামনে ঘুরে দাড়ানো ও স্মরণীয় করে রাখার ম্যাচ আর শ্রীলঙ্কার ছিল আগের বছরের তিক্ততা ভুলে নতুন বছরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া ম্যাচ। এমন পরিসংখ্যানে অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে রানের চাপায় ফেলেছে জিম্বাবুয়ে।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডে ম্যাচের স্মরণীয় মুহূর্তে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হাথুরু বাহিনী।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বড় কিছুর আভাস দেয় উদ্বোধনী জুটি সুলেমান মীর ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। এ দুজন উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৭৫ রান। দলীয় ৭৫ রানেই পেরেরার বলে মেন্ডিসের তালুবন্দী হন মীর(৩৪)। এরভিন(২) উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আগেই তাকে ফেরার সুরাঙ্গা লাকমাল। এরপর টেইলরকে নিয়ে মাসাকাদজা দলীয় রান ১৪২ পর্যন্ত টেনে নেন। এরপরই হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন মাসাকাদজা।
দলীয় ১৪২ রানে অসেলা গুনারত্নের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। অবশ্য ফেরার আগে নিজের জাত ঠিকই চিনিয়েছেন। ৮৩ বলে ১০ চারে ৭৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন এ ওপেনার।
মাসাকাদজার পর দলের রানের গতি সচল রাখার দায়িত্ব পড়ে টেলরের কাঁধে। বেশ ভালোভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কিন্তু তা সহ্য হচ্ছিল না থিসারার। দলীয় ১৬৯ রানে সরাসরি বোল্ড করে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের চোখরাঙানি থামান লংকান পেসার।
টেলর বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন ম্যালকম ওয়ালার। তাকে নিয়ে দলের রান বাড়িয়ে চলেন সিকান্দার রাজা। দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন তারা। বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল এ জুটি। তবে এ যাত্রায় থেমে যান ওয়ালার। দলীয় ২২৬ রানে গুনারত্নের বলি হয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
একের পর এক ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন সিকান্দার রাজা। তাকে সমর্থন যোগান পিটার মুর। সতীর্থের সমর্থন পেয়ে আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করেন রাজা। অনিন্দ্য সব শটের পসরায় খেলেন ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৬৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটে চড়ে ৬ উইকেটে ২৯০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
এর মাঝে ১৮ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের ক্যামিও খেলে ফেরেন মুর।
শ্রীলংকার হয়ে অসেলা গুনারত্নে ৩টি ও থিসারা পেরেরা নেন ২ উইকেট।
এএ/ওয়াই
মন্তব্য করুন