আফ্রিকায় দেখা মিললো ভগ্ন ভারতের
কেপটাউন থেকে শুরু হয়ে সেঞ্চুরিয়ানে দাপট দেখিয়ে জোহানেসবার্গে আছড়ে ফেললো ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না ভারতের। হোয়াইট ওয়াশ বাঁচানোর লক্ষ্যে নেমে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কোহলির ভারত। কিন্তু প্রোটিয়া পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। প্রথম দিনেই ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। প্রোটিয়ারা যে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে তাও বলা যাবে না। প্রথম দিনের শেষ মুহূর্তে এক উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
এর আগে বুধবার জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় শুরু হয়। প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৮৩ ওভার, রান উঠেছে ১৯৩, উইকেট পড়েছে ১১টি। অর্থাৎ প্রথম দিনে ছিল বোলারদের দাপট।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউস উড়িয়ে দেয়ার ভিডিও প্রকাশ!
--------------------------------------------------------
এই মাঠে এর আগে চার টেস্ট খেলে একটিও হারেনি ভারত; একটি জিতেছে, তিনটি ড্র হয়েছে। অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখার লক্ষ্যে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন পেসার ভুবনেশ্বর। ২০১১-১২ সালের পর এই প্রথম কোনো স্পিনার ছাড়া টেস্ট খেলছে ভারত। ৫জন করে পেসার নিয়ে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।
সবুজ উইকেটে ভারতের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। চতুর্থ ওভারেই লোকেশ রাহুলকে কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ভারনন ফিল্যান্ডার। নবম ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার মুরালি বিজয়ও। রাবাদার বলে বিজয়ও ক্যাচ দিয়েছেন ডি কককে। রাহুল মারেন ডাক, বিজয় করেছেন ৮। ভারতের সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ১৩!
তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন চেতেশ্বর পূজারা ও কোহলি। যদিও কোহলি ফিরতে পারতেন ১১ রানেই। কিন্তু রাবাদার বলে মিড অফে কোহলির ক্যাচ ছাড়েন ফিল্যান্ডার। আর পূজারার রানের খাতা খুলতে লেগেছে ৫৪ বল! ২০০১ সালের পর রানের খাতা খুলতে তার চেয়ে বেশি বল খেলেছেন শুধু একজন, ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রানের খাতা খুলতে ৬১ বল খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড।
কোহলি তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। লুঙ্গি এনগিডির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডাইভ করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক (৫৪)। রোহিত শর্মার জায়গায় সুযোগ পাওয়া অজিঙ্কা রাহানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৩ রানে ক্যাচ দিয়েও ফিল্যান্ডার ‘ওভার স্টেপিং’ করায় জীবন পেয়েছিলেন। জীবন পেয়ে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ৯ রান করে ফিরেছেন মরনে মরকেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
পূজারা ১৭৯ বলে ৫০ করে ফেরার পরপরই ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। দলের স্কোর ১৪৪ রেখেই ফেরেন পূজারা, পার্থিব প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া। এরপর নিয়মিত বিরতিতে বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ ওভারে ১৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। কোহলি-পূজারা ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল ভুবনেশ্বর (৩০)।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে মরনি মরকেল ২টি, ভারনন ফিল্যান্ডার ২টি, কাগিসো রাবাদা ৩টি, লঙ্গি এনগিদি ১টি ও আন্দিল ফেহলাকওয়েও ১টি করে উইকেট নেন।
পরে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ছয় রান সংগ্রহ করে দিনের খেলা শেষ করে। দলের পক্ষে দুই রান করে আউট হন এইডেন মার্করাম। চার রান করে অপরাজিত থাকেন ডেন এলগার। শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন কাগিসো রাবাদা। ভারতের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নেন ভুবনেশ্বর কুমার।
আরও পড়ুন:
এএ
মন্তব্য করুন