ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনের সাহসিকতার কারণে বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা লুট করতে পারেনি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকে হামলার পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজারের ল্যাপটপ খুলে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তারা অপহরণের আগে ম্যানেজারের কাছে কোটি টাকা চায়। ব্যাংকে ভল্টের চাবি চায়। কিন্তু ম্যানেজারের কৌশলের কারণে সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করতে পারেনি।
আল মঈন বলেন, ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীর শক্ত মনোবলের কারণে তারা বেশি একটা সুবিধা করতে পারেনি। এ ছাড়া র্যাবের কৌশল কাজে লেগেছে। তারা ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে নিরাপদে ফিরিয়ে দিয়ে গেছে।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এরপর বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাতে সন্ত্রাসীরা থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই এলাকায় এখনও থমথমে।
এদিকে বান্দরবানের এসব ঘট্নায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের আসামি করে রুমা ও থানচি থানায় ৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।