কোটা আন্দোলনকে আমলে নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নির্বাচন ভবন এবং নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৯ জুলাই) ইসির উপসচিব হেলাল উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা গেছে।
আইডিইএ-২ (স্মার্ট কার্ড) প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমকে সাত সদস্যের ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা এবং যানবাহনে কতিপয় দুস্কৃতকারী কর্তৃক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা ও ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন পরিসেবায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। নির্বাচন ভবন একটি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান।
এই ভবনে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার, ইভিএম কাস্টমাইজেশন সেন্টার, কম্পিউটার ল্যাবসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও নথি রয়েছে। এ অবস্থায়, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন ভবন এবং ইটিআই ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর জোরদার করার জন্য কমিটি গঠন করা হলো।
নিরাপত্তা কমিটি যা করবে- ক. স্থাপিত সব সিসি ক্যামেরা সচল ও মনিটর করা। খ. মূল ভবনের প্রবেশ পথ ও প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ পথ ব্যবহারকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা। গ. জরুরি বহির্গমনের পথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ব্যবহার উপযোগী রাখা। ঘ. অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যাচাইয়ান্তে সচল করাসহ মহড়ার ব্যবস্থা করা। ঙ. ভবন দুটিতে আগমনকারীদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ান্তে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। চ. কমিটির বিবেচনায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা। ছ. গঠিত কমিটি প্রতি ১৫ দিন পরপর গৃহীত কার্যক্রম ও সর্বশেষ অবস্থা সচিব মহোদয়কে অবহিত করবেন।