আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে সীমান্ত হত্যা

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০২:৫৯ পিএম


আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে সীমান্ত হত্যা
ফাইল ছবি

ভারতের নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। এবারের সম্মেলনে আলোচনার টেবিলে বিশেষভাবে প্রাধান্য পাবে সীমান্ত হত্যা ইস্যু। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন আসন্ন সম্মেলনে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও এতে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন এ সীমান্ত সম্মেলনে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রতিনিধিত্ব করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও অপহরণের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও জানানো হয়েছে, এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, আটক, অপহরণ রোধ, ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে আছে নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াসহ অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ ও চলমান অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের নিষ্পত্তি,  আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী ৪টি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

বিজ্ঞাপন

তিনদিনব্যাপী আলোচনা শেষে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে দুই দেশের মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের এ সীমান্ত সম্মেলন। ওইদিনই দেশে ফিরবেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

আরটিভি/এসএইচএম/এআর

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission