তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা নগরবাসীর
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। বৈশাখ আর বর্ষার বিপরীতমুখী আচরণে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির অভাবেই দেশের তাপমাত্রা বেড়েছে বলে আরটিভিকে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করেছিল।
তীব্র তাপদাহে হাসফাস অবস্থা নগরবাসীর। খানিকটা প্রশান্তির আশায় শীতল অবলম্বন খুঁজে ফিরছেন সবাই। স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে পথের পাশের সরবত বা লেবুর পানি পান করছেন ক্লান্ত মানুষগুলো।
তাদের সাথে আলাপকালে একজন বলেন, গরমের জন্যই ঠাণ্ডা পানি খাই।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা কাল, ডিএমপি’র নির্দেশনা
--------------------------------------------------------
তীব্র গরমের জন্য কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে বলে নিশ্চিত করেছেন নগরবাসীরা। বিশেষত বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামে ৩৯ ডিগ্রির ওপরে আর ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রির ওপরে। দেশের প্রায় সবখানেই তাপদাহ ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টির ধারাবাহিকতা কমে আকস্মিকতা বেড়েছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া কুমিল্লা, নোয়াখালী, সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ড অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সমুহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রী সে. এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/ জেএইচ
মন্তব্য করুন