দুই হাসপাতাল ঘুরে ইভ্যালির রাসেল এখন থানায়
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে থাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল অসুস্থবোধ করায় তাকে রাজধানীর দুই হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আবার গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। মো. রাসেল এখন সুস্থ আছেন। গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এএসআই অলিন্দ্র।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মো. রাসেল হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। থানা পুলিশ একটি গাড়িতে করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিতে রওয়ানা হয়। রাত ১০টা ২৮ মিনিটে সেখানে পৌঁছায়। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরে রাত ১১টা ১০ মিনিটে মিডফোর্ড হাসপাতালের উদ্দেশে ঢামেক থেকে রাসেলকে নিয়ে যাওয়া হয়। মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থবোধ করায় এবং গুরুতর শারীরিক সমস্যা না থাকায় তাকে রাত ১২টায় গুলশান থানায় নিয়ে আসা হয়।
এএসআই অলিন্দ্র বলেন, চিকিৎসক ও মো. রাসেলের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, গত কয়েকদিন ধরে তার খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম চলছিল। সে কারণে তার অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। পরে দুই হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। তাকে রাত ১২টায় আবার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলেই রাসেলকে মোহাম্মদপুরের তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তারর করে র্যাব। পরে তাদের র্যাব সদরদপ্তর নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
কেএফ
মন্তব্য করুন