নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে কেউ ষড়যন্ত্রের সাহস পাবে না: বিএনপি

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০৭:৪১ পিএম


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে আর কেউ ষড়যন্ত্রের সাহস পাবে না। পতিত সরকার আজকে বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। বিদেশের যেসব দেশ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতা করছে বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ওয়াদাবদ্ধ। তাই আমরা অতি দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ দিতে বলেছি। যাতে জনগণ রোডম্যাপ পেলে নির্বাচনমুখী হয়।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই নেতা বলেন, বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা ঐক্যমত্য প্রকাশ করেছি, যেভাবে সবাই মিলে জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি, সেভাবেই ছাত্র-জনতা মিলে ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্রও মোকাবিলা করবো।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরোয়ার, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, এনপিপি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যমুনায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতনসহ বেশ কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশ বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এরমধ্যে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়। তার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় ‘চিন্ময়ের অনুসারীরা’ সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনার রেশ না কাটতেই ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলা হয়, যাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হিসেবে বর্ণনা করে ‘ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এসব পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা।

আরটিভি/এএইচ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission