স্বামী খুন, স্ত্রী আটক
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা দাপা ইদ্রাকপুরে জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বামীর মরদেহ দাফন করতে চেয়েছিল স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। খবর পেয়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত জামাল হোসেন ফতুল্লা দাপাইদ্রাকপুর এলাকার রেইনবো মোড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের মেয়ে সামিয়া আক্তার জানায়, তিনি ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। তার বাবা রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। আর রাত আড়াইটার দিকে তার ঘুম ভেঙে যায়। ডাইনিং রুমের বাতি জ্বালানো দেখতে পেয়ে তা নিভাতে এসে বাথরুমের দিকে নজর যায় তার। তিনি দেখতে পান তার বাবা বাথরুমের ভেতরে পড়ে রয়েছে। তখন তিনি তার মাসহ ছোট ভাইকে ডেকে তোলে। পরবর্তীতে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ডেকে তোলা হয়। সবাই এসে বুঝতে পারে তার বাবা মারা গেছে। মরদেহ বাথরুম থেকে বের করে নিয়ে আসে তারা। স্বজনদের পরামর্শে তাদের উপস্থিতিতে দাফনের ব্যবস্থা করেছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকদের বরাত দিয়ে জানায়, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে চাকরি করতেন। গত দেড় বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার বিষয়ে জামাল হোসেনকে তার স্ত্রী সন্দেহ করতো। এনিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। তারই জের ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিকল্পিত ভাবে জামালের স্ত্রী শারমীন আক্তারসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে জামাল হোসেনকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর মরদেহটি বাথরুমে রেখে দেয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী শারমিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
এনএম/এসএস
মন্তব্য করুন