সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় ভাইয়ের সম্পত্তি গ্রাস করতে না পেরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাতিজি সুমী আক্তারকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে সবজি ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় আপন চাচা।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত সুমীর গুঙ্গানির শব্দ পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ভাঙ্গা দুই পা আর ভাঙ্গা এক হাতে প্লাস্টার জড়ানো এবং শরীরে অসংখ্য ক্ষত নিয়ে মৃত্যুর যন্ত্রনা ভোগ করছেন সুমী।
গতকাল বুধবার রাতে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ী ছাগীপাড়া রামচন্দ্রপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর সুমীর বাবা সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলো, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ীয়া ছাগীপাড়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুমীর আপন চাচা খেজমত আলী (৪৫) ও অপরজন একই গ্রামের মেহেদী হাসান অপু (২২)।
সাভার মডেল পুলিশ জানায়, সুমীর বাবা কদম আলী লেখাপড়া না জানলেও তার মেয়ে শিক্ষিত হওয়ায় জমির কাগজপত্র ভালো বুঝতো। সুমী জমির কাগজপত্র বুজায় তার চাচা খেজমত আলী ও তার ছেলেরা জমি আত্মসাতে বেশি সুবিধা করতে পারছিলো না।
সে কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীদের নিয়ে কদম আলীর বাড়ী ও গরুর ফার্মে হামলা চালিয়ে সুমীকে একা পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে পাশের একটি সবজি ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় চাচা খেজমত আলীসহ তার সঙ্গীরা। পরে স্থানীয়রা সুমীকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল ভর্তি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সুমীর বাবা কদম আলী সাভার মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জেবি