স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি রিকশাচালকের মেয়ে
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ঢাকেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বেতন কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে অভিভাবকরা।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর বেতন কমানো হয়েছে। কোন কোন শিক্ষার্থীর পুরো বেতন মওকুফ করা হয়েছে।
এদিকে একজন রিকশা চালক ১৫৪০ টাকা দিতে না পারায় তার মেয়ে মাবিয়া আক্তারকে ভর্তি নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষার্থী ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। সোমবার শিশুটির মা আয়শা আক্তার ভর্তি করাতে গেলে তার হাতে ১ হাজার ৫শ' ৪০ টাকার একটি স্লিপ ধরিয়ে দেয় স্কুলের একাউন্ট শাখা।
বিষয়টি ঢাকেশ্বরী মিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন এর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি প্রথমে বলেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। পরক্ষণে আবার বলেন হ্যাঁ মনে পরেছে। অধ্যক্ষ দাবি করেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার একাউন্ট সেকশনের কথা শুনেই বাড়ি ফেরত গেছেন। যদি আমার সাথে যোগাযোগ করতেন তবে এমনটা ঘটতো না। তিনি জানান আমি আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়ে নিবো।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ বলেন, ঢাকেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধেক শিক্ষক নন-এমপিওভুক্ত। শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বেতন না দিলে নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না।
তিনি আরও জানান, যারা বেতন দিতে অক্ষম তাদের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাছে আবেদন করলে বেতন মওকুফের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।
জিএম/জিএ
মন্তব্য করুন