পাওনা টাকা আত্মসাত করতে যশোরের মণিরামপুরে স্বাস্থ্যকর্মী সাধনা রানীকে হত্যা করা হয়েছে।পরে তা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে প্রচার করা হয়।
এ অভিযোগে তার দুই সহকর্মীসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের মেয়ে সাথী পাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন, মণিরামপুরের মুজগুন্নি গ্রামের মৃত ছামাদ বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান, বাঙ্গালীপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ইসমাইল ও চণ্ডিপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে জাহিদ।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু বিষয়টি আমলে নিয়ে মণিরামপুর থানায় এ সংক্রান্ত কোনও মামলা হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দিতে ওসিকে আদেশ দিয়েছেন ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাগেরহাটের শরণখোলার রাজাপুর গ্রামের মৃত কমলেশ চন্দ্র হালদারের স্ত্রী সাধনা রানী মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে ইসমাইল ও জাহিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।
২০১৮ সালে ইসমাইল ও জাহিদের পরামর্শে ব্যবসার জন্য সাধনা ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে। তিন মাসের মধ্যে ধারের টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও মিজানুর না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। সম্প্রতি মিজানুর ধারের দুই লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
বাকি টাকা দ্রুত পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকারনামা করেন। ২০২০ সালের ৬ জুন ধারের টাকা দেয়ার কথা বলে আসামি জাহিদ মোটরসাইকেলে করে সাধনা রানীকে নিয়ে রওয়ানা দেন। এরপর মণিরামপুর-চিনাটোলা রাস্তার যেকোনো জায়গায় সাধনা রাণীকে আঘাত করে জখম করা হয়।
পরে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রচার করে আসামিরা। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে যশোরে না নিয়ে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন সাধনাকে। মণিরামপুর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করা হলে আসামিরা সেখানে ভর্তি না করে খুলনার গাজী মেডিকেলে ভর্তি করেন। পাওনা টাকা না দিতে সাধনা রাণীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জেবি