ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, ধামাচাপা দিতে হত্যার চেষ্টা
মাদারীপুরের রাজৈরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিবেশীকে শায়েস্তা করতে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত চিরঞ্জিত।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কিশোরীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযুক্ত রঞ্জিত মোড়ল মাদারীপুরের রাজৈরের আমগ্রামের কৃষ্ণ মোড়লের ছেলে।
স্বজনরা জানায়, গত ১২ এপ্রিল মাদারীপুরের রাজৈরের আমগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী কৃষ্ণ মোড়লের ছেলে চিরঞ্জিত মোড়ল (২৫)। পরে একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কিশোরীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষার্থীর ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় চিরঞ্জিতসহ তার সহযোগীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বলেন, মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে চিরঞ্জিত। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করে মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেটি ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ঘটনার কঠিন বিচার চাই।
এই ঘটনার বিষয়ে রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদী বলেন, শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে শিক্ষার্থী নিখোঁজ হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। পরে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয় নির্যাতিতার।
জিএম
মন্তব্য করুন