ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে বরখাস্তসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) জধানীর কাওরান বাজারে জনসচেতনতামূলক ১০ দিনব্যাপী ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষায় নিজেদের স্বার্থেই প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড ও কাঁচাবাজারসহ জনসমাগমস্থলে আজ থেকে একযোগে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সংরক্ষিত ও সাধারণ সর্বমোট ৭২ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজে সুরক্ষিত থাকতে এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তাই ডিএনসিসির উদ্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ৩২ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মার্কেটের সামনেই ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ও ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কথাগুলো স্পষ্টভাবে লিখে রাখতে হবে এবং এ-সংক্রান্ত ব্যানার দৃশ্যমান থাকতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জুমার নামাজসহ অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব ও জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের জন্য মসজিদের ইমাম ও খতিবগণের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএনসিসি মেয়র কাওরান বাজার এলাকায় বিভিন্ন ক্রেতা, বিক্রেতা ও পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন,
রাজধানীর কাওরান বাজারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এখানে আন্তর্জাতিক মানের নতুন একটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ ঊর্ধবতন কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় কাউন্সিলর হামিদা আক্তার মিতা উপস্থিত ছিলেন।
এফএ/টিআই