অবশেষে সিলেট মহানগর এলাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খাসির মাংসের আগের দামই ৮৫০ টাকা রাখা হয়েছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের দুদিন পর বুধবার (১৩ এপ্রিল) থেকে নতুন দামেই মাংস বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সিসিকের তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে সিলেট মহানগরী এলাকায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে, রমজান মাস উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ এক বৈঠকে সিলেট নগরে গরু, ছাগল ও খাসির মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয় সিসিক। এতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৭৫০ এবং খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
সিসিক নির্ধারিত দাম বৃদ্ধির দাবিতে গত ৭ এপ্রিল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নগরীর গরু ও ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সিসিক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা ও ছাগলের মাংস সাড়ে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এতে লোকসানের কথা বলে রমজানের আগে দুই ধরনের মাংসের দাম বাড়ানোর দাবি জানায় সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি।
ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েন সাধারণ ক্রেতা ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। সভায় দাম বাড়ানোর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীতে মাংস বিক্রি শুরু করেন তারা।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে নতুন নির্ধারিত মূল্যে শুধু গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত দামের বেশি মূল্যে কেনাবেচা করলে জরিমানার পাশাপাশি মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর মাংস ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক বলেন, আমাদের চাওয়া ছিল দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া। মাংস ব্যবসায়িরা মোটামুটি আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। মেয়র সেটি বিবেচনায় নিয়ে কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। আশা করি, ধার্য করা দামের বাইরে কেউ ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য রাখবেন না।
তবে এই মূল্য বৃদ্ধিরে ফল ক্রেতা সাধারণের মধ্যে অনেকটা ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছে। কারও কারও মতে আগের দামেই ব্যবসায়ীরা লাভবান হতো।