কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের সুগন্ধ্যা পয়েন্টের হোটেল সি কক্সের ম্যানেজার খালেদ আশরাফ বাপ্পীর (২৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকের হোটেলের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে তার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করছেন স্বজনরা। বাপ্পি বাংলাবাজার এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।
নিহত খালেদ আশরাফ বাপ্পি কক্সবাজারের বাংলাবাজার কাজীর রোড এলাকার বাসিন্দা। সে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ওই হোটেলে সে পার্ট টাইম চাকরি করতো বলে জানা যায়।
বাপ্পীর মঙ্গে থাকা অন্য স্টাফরা দাবি করেছেন, কক্ষের দরজা ভেঙে বাপ্পীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। সাড়ে ১২টার দিকে বাপ্পীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় সহকর্মীরা। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপর তার মরদেহ পুনরায় কোয়ার্টারে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ভোর পৌনে ৪টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সী কক্স হোটেলের রিজার্ভেশন অফিসার অর্ণব বলেন, হোটেল থেকে কিছু দূরে পাহাড়ের সঙ্গে লাগোয়া হোটেলের স্টাফদের কোয়ার্টার। ওখানে স্টাফরা রাত্রিযাপন করেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হোটেলের ডিউটি শেষ করে বাপ্পি স্টাফ কোয়ার্টারে চলে যান। পরে তাকে মৃত অবস্থায় বাসার থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় বাসায় কেউ ছিল না এবং তার রুমটি ভেতর থেকে ‘লক’ করা ছিল।
বাপ্পীর বাবা আবদুল গফুর জানিয়েছেন, তিন দিন আগে সর্বশেষ বাড়ি এসেছিল বাপ্পী। তবে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল না।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দীন জানান, বাপ্পীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মৃত্যর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
গত এক সপ্তাহে কক্সবাজারের ওয়ার্ল্ড বীচ রিসোর্টে এক যুবক এবং আলম গেস্ট হাউজ নামে এক হোটেলে এক পর্যটকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।