পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পার হয়েছে। এত দিনেও পাহাড়িরা ভালো নেই। পার্বত্য চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন পাহাড়িদের সঙ্গে বাঙালিদের জন্যও দরকার। রাষ্ট্রকে সব মানুষের অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সবগুলো চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। বেশির ভাগ সময়ই শুনতে পাই পাহাড়িদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে আদিবাসী নারীরা নিরাপদ নয়। অসংখ্য ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের খবর আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন দাবি করেন আলোচকরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এ সভা আয়োজন করে।
আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ২৫ বছরে এসেও ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। তাই শিগগির শান্তি চুক্তি ও ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য রোডমেপ তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
আদিবাসীরা অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন দাবি করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, সরকার সমতল আদিবাসীদের জন্য ভূমির কথা বলেছিল। কিন্তু তা এখনও হয়নি। ৯২ শতাংশ আদিবাসীদের নিজ ভূমি নেই। আদিবাসীরা এখন অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, একই সভায় ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, শুধু আদিবাসীরাই নন, আজ সমগ্র দেশের মানুষ অসহায় ও নির্যাতিত। ২৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে ৭২ দফা চুক্তি করেছে। কিন্তু চুক্তি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। গত ১৬ বছর যাবত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। তবে কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা চাই সংসদে এই চুক্তিগুলো আইন আকারে বাস্তবায়ন করা হোক।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, আদিবাসী ফোরামের মেইনথিন প্রমীলা, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ তারেক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য খুশী কবিরসহ অনেকে।