আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, গত ছয় মাস বিএনপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছে। তারা একেকবার একেক কথা বলছে। এখন তারা বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই কারণে আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়েছে, তারা যদি রাজপথে আসে, আসতে পারে। কিন্তু সেখানে যদি কোনো অরাজনৈতিক অপতৎপরতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চাইলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন— যে হাত দিয়ে মানুষের যান অথবা গাড়ি বা অন্যকিছুতে আগুন লাগাবে, সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাত দিয়ে মানুষকে আঘাত করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। অর্থাৎ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। এ জন্য রাজশাহী বিভাগের জনসভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে সভার বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির জনসভা করাতে আমরা সহায়তা করেছি, কিন্তু তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের জনসভায় গ্রেনেড হামলা, মানুষ হত্যা, আমাদের নেতাদের লাঠিপেটা করেছে। আমরা তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছি, আর তারা আমাদের ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে আমরা অন্য মাঠ বেছে নিতে পারতাম, কিন্তু রাজশাহীর মাদরাসা মাঠকে বেছে নিয়েছি এজন্য যে— মানুষ যেন তুলনা করতে পারে বিএনপির জনসভা কতটুকু হয়েছিল আর আমাদের জনসভা কতটুকু হবে। আমরা জনতার শক্তিতে বলিয়ান, আর তারা অস্ত্র এবং যড়যন্ত্রের ওপর বিশ্বাস করে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি ও প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল সভায় সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার।
সভায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, খাদ্য মন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন আসনের সরকারদলীয় এমপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।