পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরলেন যশোরের শার্শার এক প্রবাসী পরিবার।
রোববার (১১ জুন) বিকেলে আমেরিকা থেকে ঢাকায় আসার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে নিজবাড়ির ছাদে হেলিপ্যাডে এসে নামেন তারা। প্রবাসীদের এমন আগমন দেখতে ভিড় জমান হাজারো উৎসুক জনতা।
আমেরিকা প্রবাসী মানবী আসাদ এষনা যশোরের বাগআঁচড়া গ্রামের আসাদুজ্জামান লিটনের একমাত্র মেয়ে। তিনি বাবাসহ পরিবার নিয়ে আমেরিকা থাকেন। মানবী আসাদ এষনা ইউএসএ-তে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কোর্সে অধ্যয়নরত। পাশাপাশি তিনি ইউএসএ থেকে পরিচালিত মানবী ওয়েল কেয়ার (ইউএসএ ২০) নামে একটি সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানবী ওয়েল কেয়ার এলাকার অসহায়, দুস্থদের বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ মসজিদ মাদরাসা ও এতিমখানায় অর্থ সহযোগিতা করে থাকেন।
ঈদ উদযাপন করতে রোববার পবিবারের সবাই মিলে এসেছেন দেশে। তবে নিজ গ্রামে প্রবেশ করেন ভিন্নভাবে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে নিজ বাড়ির ছাদের হেলিপ্যাডে নামেন তারা।
মানবী আসাদ এষনা ইউএসএর একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। পাশাপাশি তিনি আমেরিকায় থেকে নিজ গ্রামে পরিচালনা করেন মানবী ওয়েল কেয়ার নামের এক সংস্থা। যার মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ মসজিদ মাদরাসা ও এতিমখানায় অর্থ সহযোগিতা করে থাকেন তিনি।
মানবী আসাদ এষনার বাবা বলেন, পড়াশুনার জন্য মেয়েকে ঢাকা পাঠাই। তারপর নিজে বিদেশ যাবো বলে সবাই ঢাকা চলে গেলাম। ১৯৯৫ সালে আমেরিকায় যাই, সেখানে ১৫ বছর থেকে মেয়েকে নিয়ে যাই তারপর ছেলেকে। সেখানেই আছে তারা, চাকরি করছে। ঈদ উদযাপন আর কিছু সামাজিক কাজে দেশে আসা।
মানবী আসাদ এষনা বলেন, বর্তমানে আমি ওই দেশে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। মাতৃভূমি ও নারীর টানে মাঝে মাঝে দেশে আসি। এলাকাবাসী আমাকে এতো ভালবাসে দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দোয়া চাই। বেঁচে থাকতে চাই মানব কল্যাণে।
স্থানীয়রা জানান, আমেরিকা প্রবাসী মানবী আসাদ এষনার পরিবারটি আমাদের গর্বের ধন। তারা প্রবাসে থেকেও এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও গরিব অসহায় মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার আগমনে আমরা খুশি এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।