ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি কোথাও কমছে, কোথাও বাড়ছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩ , ০১:৫২ পিএম


loading/img
ছবি : আরটিভি

গাইবান্ধায় করতোয়া ছাড়া সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। পানি কমতে শুরু করায় নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে সবগুলো নদীর পানিই বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার, তিস্তা ১০২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ৩৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি, পারদিয়া ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ২০০ পরিবার গৃহহারা হয়েছেন। 

কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, এসব পরিবার ভিটেমাটি, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভাঙন রোধে কিছু এলাকায় নদীর তীরে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। বাকী অংশেও ফেলা হবে।  

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |