রাজধানীর গুলশানে পুলিশের লাঠিপেটায় সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিক্ষোভরত ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ব্যবসায়ীরা গুলশান-১-এর গোলচত্বর থেকে সরে যান।
গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এদিন বেলা ১১টার দিকে ভবনটি সিলগালা করে দেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা গুলশান-১-এর গোলচত্বর অবরোধ করে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করেন। এতে ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ তাদের সরে যেতে অনুরোধ জানায়। কিন্তু তারা না শুনলে বাধ্য হয়ে পুলিশ বিক্ষোভরতদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দোকানিরা যানবাহন ভাঙচুর করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস গুলশান শপিং সেন্টারের ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে বলে। কিন্তু এত দিনেও কোনো কিছুই ঠিক করা হয়নি। তাই ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে মার্কেট থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে সিলগালা করে দেন।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা না সরলে বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তারা যানবাহনের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এর ফলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।