আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপি-জামায়াতকে বলেছেন, নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, সেটি আপনাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিষয়। যদি নির্বাচনে আসেন আপনাদেরই ভালো হবে। নির্বাচনে না এসে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো চক্রান্ত যদি করেন, তাহলে মার্কিন ভিসা নীতিতে কী বলল সেটি আমরা দেখতে যাব না। দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর পাঠানপাড়ার শিমুলতলা মোড়ে যুবলীগের রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র লিটন বলেন, লন্ডনে বসে তারেক জিয়া নির্দেশ দেবে, আর বাংলাদেশে সরকার পতন হবে, এই স্বপ্ন দেখিয়েন না। তারেক জিয়াকে বলেন, যদি রাজনীতি করার শখ থাকে দেশে আসেন। আপনার বিরুদ্ধে মামলা আছে, জেলে যান। আপনার নেতাকর্মীরা যদি সোচ্চার হয়, আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাকে ছেড়ে দিতে সরকারকে বাধ্য করতে পারে। জনগণ যদি রায় দেয়, তাহলে বুঝবো আপনি দায়িত্ব নিতে পারবেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের নাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। তবে সেটি আবার কমে যাবে। কিন্তুএগুলোকে পুঁজি করে যারা বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা ব্যর্থ অতীতেও হয়েছে, আগামীতেও হবে।
বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৪ সালে আপনারা (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। নির্বাচন বর্জন করে জ্বালাও পোড়াও, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, বাসে আগুন, রেললাইন উপড়ে ফেলা, গাছ কাটাসহ ব্যাপক নাশকতা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব খরেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী। এ সময় আরও বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, সদস্য বেগম আখতার জাহান।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা প্রমুখ।