ঢাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে। তবে তার আদি বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। সেকেন্দার আলী মোল্লা বার্ধক্যজনিত কারণে প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমিরুল ইসলাম পারভেজের কাকা ও বাসাইল থানার এসআই ওয়াজেদ আলী এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজদের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারকাটারি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে বাড়ি ছিল। তবে ২০১১ বা ২০১২ সালের দিকে যমুনা নদীতে বসতবাড়ি ভেঙে যায়। পরে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বাড়ি করেন। তার স্ত্রীর নাম রুমা আর সাত বছর বয়সী মেয়ের নাম তানহা ইসলাম। তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন।
দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পারভেজ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাইয়ের নাম আজিজুল হক বিপ্লব। তবে বর্তমানে তার পরিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বসবাস করলেও তারা এখনও চরকাটারি ইউনিয়নের ভোটার।
এদিকে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মৃত্যু সংবাদে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনেরা ও গ্রামবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পারভেজ আহত হয়। বিকেল ৪টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।