ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

বরিশাল মেডিকেলের কোয়ার্টারে আইএইচটি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা নিয়ে রহস্য

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ০১:৫৮ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম অন্তরা পানুয়া। সে পটুয়াখালী জেলা সদরের খলিসাখালী এলাকার অনুকুল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে এবং বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ডেন্টাল অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

বিজ্ঞাপন

মরদেহ উদ্ধারকারী কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, অন্তরার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ থাকলে লিখিত দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের সূত্র বলছে, কারও সাথে সম্পর্কের সূত্র ধরে সে আত্মহনন করে থাকতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আইএইচটির শিক্ষার্থী হলেও শেবাচিম হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়েছে তারা অনেকেই বাহিরে থাকেন। অন্তরাও হোস্টেলে না থেকে বাহিরে থাকতো। তবে সে কোথায় থাকতো সেটি জানতাম না। সকালে তার আত্মহত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। মৃত্যুর কারণ বলতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, অন্তরার মরদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেটি আমাদের আওতাভুক্ত এলাকা না, সেটি শেবাচিম হাসপাতালের কোয়ার্টার এলাকা। তাই সে কিভাবে সেখানে থাকতো তাও জানি না।

বিজ্ঞাপন

অন্তরার পাশের রুমে বসবাসকারী আইএইচটি’র অপর শিক্ষার্থী সুমাইয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাত্র একদিন আগে শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের এ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলার ফ্লাটটিতে ওঠেন তারা। দোতলায় তাদের শিক্ষক তাহেরুল ইসলাম সুমন থাকেন এবং তার মারফতই তৃতীয় তলায় তারা উঠেছেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক সুমন সম্পর্কে মামা হন জানিয়ে সুমাইয়া বলেন, আমরা এখানে অল্প কয়েকদিনের জন্য থাকতে এসেছিলাম, নতুন বাসা নিয়ে সেখানে যাব। কিন্তু তার আগেই অন্তরা আত্মহত্যা করলো।

আত্মহত্যার কারণ জানা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তরার রুমের জানালা দিয়ে দেখতে পাই সে ফ্যানের হুকের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।

চার বছর আগে তাপস নামে এক ব্যক্তির সাথে অন্তরার বিয়ে হয়। চাকরির কারণে সেও বরিশালে থাকেন না জানিয়ে সহপাঠীরা বলছেন, স্বামীর সাথে কলহ কিংবা অন্য কোন কারনে অন্তরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে সম্প্রতি অন্তরা মানসিক চাপে ছিলেন বলেও জানান তারা।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |