বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ গতি বাড়িয়ে উপকূলে আঘাত হেনেছে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা থেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেন উপকূলবাসী। রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ৫ হাজার গবাদি পশুকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান রোববার রাত ৯টায় জানান, জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৩শ’ জন পুরুষ, ৩৩ হাজার জন নারী, ১০ হাজার ৮৯৭ জন শিশু ও ১৫৮ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া ২ হাজার ২৫৩টি গরু-মহিষ, ১ হাজার ৯২৭টি ছাগল-ভেড়া ও ৮৪টি অন্যান্য পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
রেমালকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা করেছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তবে সারাদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন কম গেলেও সন্ধ্যার দিকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
শরণখোলা উপজেলার সগির মিস্ত্রি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম ঝড় অন্যদিকে চলে যাবে। এজন্য দিনের বেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসিনি। যতই সময় বাড়ছে আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ির সবকিছু গোছগাছ করে রেখে সন্ধ্যার ভেতর আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।’
মোংলার মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনছি বন্যা আসতেছে, পরিবারের সকলকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসছি। পরিস্থিতি যা দেখতেছি, তাতে মনে হয় বাড়ি থাকলে ক্ষতির সম্মুখিন হবো।’
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।’
মন্তব্য করুন