পুনরায় বিনামূল্যে পেঁয়াজ বীজ পাচ্ছেন রাজবাড়ীর ৪ হাজার চাষি
রাজবাড়ীতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪ হাজার প্রান্তিক পেঁয়াজ চাষির পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিতরণকৃত পিঁয়াজের বীজের অঙ্কুরোদগম সন্তোষজনক না হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পুনরায় পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত চাষির মাঝে বীজ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় এ কার্যক্রম।
পর্যায়ক্রমে আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজবাড়ী সদরে আরও ৬০০ জনসহ পাংশায় ৮৭৫ জন, কালুখালী ৭০০, বালিয়াকান্দিতে এক হাজার ও গোয়ালন্দে ৩৫০ চাষির মাঝে বিনামূল্য উন্নতমানের এই পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বীজ বপন করতে পারলে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। আশা করছি, পেঁয়াজ আবাদে সমৃদ্ধ এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রা এবং উৎপাদন দুটোই পূরণ হবে। এ বিষয়ে কৃষকদের পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, এ বছর রাজবাড়ী জেলায় প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এবছর জেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. জনি খান।
এ দিকে পুনরায় বীজ পাওয়া কৃষকদের দাবি, নতুন করে বীজতলা তৈরিতে তাদের আবারও খরচ হবে এবং আবাদও পিছিয়ে যাবে। যার কারণে এবার ফলনও আশানুরূপ হবে না। তবে জমি পতিত ফেলে না রেখে পুনরায় বীজতলা তৈরি করে আবাদ করবেন বলে জানান তারা।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় পুনরায় ১ কেজি করে বীজ দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক থেকে দুদিনের মধ্যে তারা বীজ পেয়ে যাবেন। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কৃষকরা বীজ বপন করতে পারলে সঠিক সময়ে হালির চারা লাগাতে পারবে। ১০ থেকে ১২ দিন আবাদ পেছালেও লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পূরণ হবে।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন