নিখোঁজের একদিন পর মৌলভীবাজারের শমশেরনগর চা-বাগানের লেকের পাশ থেকে পূর্ণিমা রেলী (১২) নামে এক কিশোরীর গলা ও হাতের কবজি কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার শমশেরনগর চা-বাগানের ১১ নম্বর সেকশনের দুটি টিলার মধ্যবর্তী স্থান থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত পূর্ণিমা আপ্পানা রেলীর মেয়ে।
নিহতের পিতা আপ্পানা রেলী জানান, পূর্ণিমা রেলী বুধবার সন্ধ্যায় গরু আনার জন্য তার ঘর থেকে বের হয়। পরে তিনি বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন রাতভর খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও খুজে পায়নি।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর শ্রমিক বস্তির চা শ্রমিক আপ্পান রেলীর মেয়ে পূর্ণিমা রেলী বাড়ির গরু আনতে গিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়েছিল। এর পর তাকে অনেক খোঁজাখোজি করে পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তারা রাতে থানায় বা ফাঁড়িতে জানায়নি। সকালে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
চা বাগান শ্রমিকদের ধারণা পূর্ণিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পরে গলা ও হাতের কবজি কেটে হত্যা করা হতে পারে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবার থেকে কেউ মামলা করেনি। তবে এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মেয়েটিকে ঠিক কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তদন্তে সে রহস্য বেরিয়ে আসবে।
আরটিভি/এএএ