স্ত্রীর লাশ গুম করে ছেলেকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন ইমাম

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:৩০ এএম


স্ত্রীর লাশ গুম করে ছেলেকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন ইমাম
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী সাহিদা বেগমকে হত্যার পর লাশ গুম করে ছেলেকে নিয়ে তার মাকে খোঁজাখুঁজি করেন স্বামী আবদুল মমিন। তিনি ধনুসাড়া জামে মসজিদের ইমাম। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) চৌদ্দগ্রাম থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে উপজেলার ধনুসাড়া গ্রামে স্ত্রীর লাশটি কাঁধে করে নিয়ে বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর গুম করে গোসল করে ফজরের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। 

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রায় ১৩০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে আবদুল মমিনের (৭০) স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬০) দুর্ব্যবহার করায় রাগান্বিত হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।

বিজ্ঞাপন

পুলিশকে গ্রেপ্তার ইমাম পুলিশকে জানান, হত্যাকাণ্ডের রাতে মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এতে সাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করেন। মমিন বিরক্ত হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রীর লাশ কাঁধে করে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে রেখে ঢাকনা লাগিয়ে দেন। 

পরে বাড়ির নলকূপ গোসল করে ভোর ৫টায় আবদুল মমিন মসজিদে চলে যান। সেখান থেকে এসে ছেলেকে ফোন করে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। পরে ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

তবে লাশ খোঁজার সময় আবদুল মমিন সবার সঙ্গেই ছিলেন। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করেনি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন তার ছেলে মাছুম বিল্লাহ। এতে তার বাবা আবদুল মমিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবদুল মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি আদালতেও জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ওসি।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/কেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission