ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিবেশী বাড়ির ভাড়াটিয়ার ছুরিকাঘাতে রফিকুল ইসলাম রতন (৪০) নামে এক বাড়ির মালিক খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতক খুনি চুন্নু মিয়াকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল হুদা খান।
জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সিডস্টোর লবণকোঠা গ্রামে তাইজুদ্দিনের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রতন ওই গ্রামের মৃত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রতন বাড়ির পাশেই তাইজুদ্দিনের চায়ের দোকানে বসে ছিলো, আচমকা চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে পিঠে একাধিক আঘাত করে এতে রতন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা রতনকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রতনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রতনকে হত্যা করে খুনি চুন্নু মিয়া নিজ ভাড়া বাসায় আত্মগোপন করে থাকেন। পরে খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে চুন্নু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, নিহত রতনের সঙ্গে আসামির স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসামি চুন্নু মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার টাঙ্গাটিপাড়া মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সিডস্টোর লবণকোঠা গ্রামের নজরুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি ওই চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় চুন্নু মিয়া দৌড়ে এসে কোনো কিছু না বলেই রতনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে সে। তখন আমার হাতে থাকা চায়ের কাপ চুন্নুর মুখে ছুড়ে মেরে নিজেকে আত্মরক্ষা করি। পরে দৌড়ে তার বাসায় গিয়ে আত্মগোপন করে সে। আশপাশের লোকজন জানতে পেরে বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল হুদা খান বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষে বলা যাবে।
আরটিভি/এমকে