বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্নাতকের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার বাবা-মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতার ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম।
জানা যায়, ওই ছাত্রীর আহত বাবা (৫০) ও মাকে (৪৫) প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছেন ধুনট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর আহম্মেদের ছেলে নাফিজ ফয়সাল। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। এরপরও পিছু ছাড়েননি নাফিজ। শুক্রবার বিকেলে নাফিজ তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়িতে এসে প্রথমে আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্ত্রীকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আমার ওপরও আক্রমণ করা হয়।
এ বিষয়ে নাফিজ ফয়সালের বাবা ও ধুনট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করলে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনার পরপরই শেরপুর-ধুনট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরটিভি/এমকে