পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১
পাবনার ঢালার চরে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির একাংশের নেতা ও জুলহাস বাহিনীর প্রধান জুলহাস মণ্ডল পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত দুইটার দিকে জেলার ঢালারচর ইউনিয়নের বালাজ মেম্বারের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুলহাস মণ্ডল একই ইউনিয়নের জসিম মণ্ডলের ছেলে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: পাবনায় প্রেমিকার স্বামীকে গলা কেটে হত্যা
--------------------------------------------------------
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একাধিক মামলার পলাতক আসামি পাবনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী জুলহাস মণ্ডলকে ডিএমপির সহায়তায় ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল ৩০ জানুয়ারি পাবনা জেলা পুলিশের আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে জুলহাস তার অস্ত্র ভাণ্ডার ও বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য দেয়। জুলহাসের স্বীকোরোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত মোহন্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢালারচর ইউনিয়নের দড়ির চর এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
এসময় বালাজ মেম্বারের মোড় এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা জুলহাসের সহযোগীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে জুলহাস পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার কবীর জানান, সন্ত্রাসীদের অবিরাম গুলিবর্ষণের বিপরীতে পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। গোলাগুলির একপর্যায়ে জুলহাস গ্রুপের সহযোগীরা টিকতে না পেরে মাঠের মধ্যে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়।
গোলাগুলি থামার পর স্থানীয়দের নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জুলহাস মণ্ডলকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় ওয়ান স্যুটারগান (সক্রিয়), সাত রাউন্ড বন্দুকের তাজা কার্তুজ ও ছয় রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোসা, একটি দেশীয় তৈরি ২২ বোর পিস্তল, এক রাউন্ড ২২ বোর পিস্তলের তাজা গুলি ও একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
জুলহাসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমিনপুর, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া থানায় নয়টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
জেবি
মন্তব্য করুন