খুলনার পাইকগাছায় ‘সন্ত্রাসী’ শফি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, শফি ও তার সহযোগী আনারুল, রফিক, শাখিল, শহিদুল ও শেখ ইব্রাহিমের হাতে চাঁদখালী ও রাড়ুলী ইউনিয়নের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার কাঁটাখালী বাজারে মানববন্ধনে অংশ নেন দুটি ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শফি ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা কারও কথা শুনছে না, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং মানুষজনকে নির্যাতন করছে।
চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মন্টু বলেন, সন্ত্রাসী শফি বাহিনীর হাতে এলাকার কেউই নিরাপদ নয়। রাতে তারা কারও গলা কেটে দিতে পারে। আমরা আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।
বক্তব্যে যুবদল নেতা মোস্তফা গাজী বলেন, আমাকে ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা শফি বাহিনীকে প্রশ্রয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত করেছেন।
ইমরান সরদার বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় ৭ জুন রাতে শফি ও তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে এবং আমার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে। এর আগে তারা আমার ঘের থেকে তিন লাখ টাকার মাছ লুট করেছে।
তিনি আরও জানান, ৮ জুন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শফি ও তার সহযোগীদের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় ৮টি অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে তারা শফির ও তার সহযোগীদের বাড়ি ও দোকানে আগুন দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রেহানা বেগম বলেন, আমরা নারীরা রাতে ঘর থেকে বের হতে পারি না। শফির বাহিনী রাতের আঁধারে আমাদের ঘরে ঢুকে ছুরি ধরে ভয় দেখায়। মুখ খুললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন লতিফ গাজী, লুৎফর রহমান, মোহসীন মালী, আবু মুছা মালী, শাহেব আলী গাজী, শেফালী বেগমসহ অনেকে।
আরটিভি/এএএ