গোপালগঞ্জে মায়ের সঙ্গে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যায় ১২ বছর বয়সের সাফিয়া। ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে মা কোনমতে নদীর তীরে উঠতে পারলেও মেয়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। রোববার সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
নিখোঁজ হওয়া শিশু সাফিয়া আক্তার (১২) নড়াইল জেলার নড়াগাতি গ্রামের লালন শেখের মেয়ে। সে ঈদের ছুটিতে মা ও ছোট ভাইয়ের সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের মামা আব্দুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
নিখোঁজ শিশুর মা খুশি বেগম জানান, ঈদের ছুটিতে দুই সন্তানকে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামে ভাই আব্দুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গোসল করতে নামেন। কিন্তু নদীর পানিতে অতিরিক্ত স্রোত থাকায় তারা তিনজনই পানিতে তলিয়ে যান। পরে কোনো রকমে ছেলে সাকিব শেখকে নিয়ে তীরে উঠতে পারলেও মেয়ে সাফিয়া আক্তার পানির স্রোতে ভেসে যায়। পরে স্থানীয়রা খোঁজ করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে বিকেলে মাদারীপুর থেকে একটি ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযানে নামে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবুরিদল নিখোঁজ সাফিয়া আক্তারকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে মাদারীপরে থেকে বিকেলে ঘটনাস্থলে আসি। ভিকটিমকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরটিভি/এমকে