মাংস নয়, এবার সিঙ্গাড়া-পিঁয়াজুতে মাছ। আর তাতেই বদলে যাচ্ছে পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর বাজারের দৃশ্য। মাছ দিয়ে তৈরি এসব ভাজাপুড়ি বিক্রি করে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করছেন হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মেরিনা খাতুন। রফিকুল দম্পতির ‘সলফ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে’ সারাদিন ভিড় লেগে থাকে।
পাঙাস, তেলাপিয়া, সিলভার কাপ আর চিংড়ি দিয়ে বানানো হয় ফিস সিঙ্গাড়া, ফিস পিঁয়াজু, ফিস চপ, ফিস রোল ও ফিস পুড়ি। সকালে স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোরদের ভিড়ে দোকানটি জমজমাট। দুপুর গড়ালেই কর্মজীবী নারী-পুরুষও যুক্ত হন।
কম দামে ভেজালমুক্ত এই খাবারে খুশি সবাই। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়। শুরুটা অবশ্য ছিল ছোট পরিসরে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সহায়তায় মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পথচলা শুরু করেন রফিকুল ও মেরিনা। এখন তাদের দোকানে কাজ করছেন ছয়জন কর্মচারী।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মাছের খাবার জনপ্রিয় করতে এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। রফিকুলদের দেখে অনেকেই এখন এ ধরনের ব্যবসায় আগ্রহী হচ্ছেন।
আরটিভি/এএএ