• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লকডাউনে বাস না চললেও সবই চলছে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৫ মে ২০২০, ১০:৪৭
বাস লকডাউন মানিকগঞ্জ
ছবি সংগৃহীত

সবই চলছে। শুধু বন্ধ আছে বাস চলাচল। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ জেলার অভ্যন্তরের সব সড়কেই চলছে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ট্রাক। যেসব কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার কোনওটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সামাজিক শারীরিক দূরত্বতো রক্ষা হয়ইনি, বরং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, এসব যানবাহনে যেভাবে গাদাগাদি করে যাতায়াত করেতে হচ্ছে। তার চেয়ে বাসে চলাচল করা গেলে অনেকটা নিরাপদে এবং অল্পখরচে যাতায়াত করা যেত। এছাড়া, কর্মহীন বাসের শ্রমিকদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হতো এবং কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে যারা বাস কিনেছেন তারাও বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাস ছাড়া সব ধরনের গাড়িই চলছে।

তিনি বলেন, যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান খোলা ট্রাকে চলাচল করছেন। এতে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না। বরং যাত্রীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করে যদি বাস সার্ভিস চালু করা যেত তাহলে যাত্রী, বাসের শ্রমিক মালিকরাও বেঁচে যেতো। তিনি সরকারকে বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য আহ্বান জানান।

দেশের দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরসহ আশেপাশের এলাকায় তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন। রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপে চড়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

যাত্রীদের মুখে শুধু মাস্ক দেখা গেছে। অনেকটা গাদাগাদি করে একজনের শরীরের সঙ্গে ঘেঁষে যেতে হচ্ছে। একটি মোটরসাইকেলে চালকসহ তিনজন, রিকশায় চারজন, ভ্যানে আটজন, প্রাইভেটকারে চারজনের বিপরীতে ছয়জন, সিএনজিতে তিনজনের বিপরীতে পাঁচজন, অটোরিকশায় চারজনের বিপরীতে আটজন, মাইক্রোবাসে সাতজনের বিপরীতে ১০ জন, পিকআপে ১৫ থেকে ২০জন এবং ছোট ট্রাকে যাচ্ছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। ভাড়া কমপক্ষে তিন গুণ বেশি। সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্ব থাকছে না।

বিভিন্ন মিল-কারখানার শ্রমিকরা বলেছেন অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশে চাকরি রক্ষা আর পেটের তাগিদে তারা মরণঘাতী ভাইরাসের প্রকোপ আর সামাজিক শারীরিক দূরত্বের কথা ভুলে গেছেন। যেকোনোভাবে পৌঁছতে হবে কর্মস্থলে। নইলে চাকরি হারাতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বলছেন, তাদের মুঠোফোনে এসএমএস এসেছে যেকোনো মূল্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। নইলে কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গায় বিকল্প লোক নিয়োগ দিবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা-বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সীমিতআকারে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু পোশাক কারখানা খোলা থাকায় হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ফেরিতে করে পার হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রাসেল আরাফাত বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে পোশাককর্মীরা তাদের জীবিকার প্রয়োজনেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী
বেটিং কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মালান!
কচুয়ায় বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর 
X
Fresh