• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আম্পানের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে মোংলায়

মোংলা প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২০ মে ২০২০, ১৪:৩৭
Mongla rain Bagerhat
ছবি সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মোংলায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার পরই এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বাতাসের গতি ছিল না। বৃষ্টির কারণে গুমট ভ্যাপসা গরম কমে পরিবেশ কিছুটা ঠাণ্ডা হয়েছে। আকাশ অন্ধকার হয়ে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা ভীতি দেখা দিয়েছে। তবে রাস্তাঘাটে সাধারণ লোকজনের চলাফেরা এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে প্রস্তুত রাখা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে লোকজন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার বিষয়ে বলেন, সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব এলার্ট থ্রি জারি করা হয়েছে। বন্দরে যে ১০টি বিদেশি জাহাজের অবস্থান রয়েছে সেগুলোর কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদে রাখার পাশাপাশি পশুর চ্যানেলের সকল নৌযানকে অন্যত্র নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের আটটি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে সকল প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, এখানকার ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩টি। এছাড়া জনসাধারণকে সচেতন ও আশ্রয় কেন্দ্রমুখী করতে ১১শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।

পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার ব্যাপক প্রচারণা। বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। পৌর মেয়র আলহাজ মো. জুলফিকার আলী বলেন, পৌরসভার ডিজিটাল কেন্দ্র হতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া পৌর এলাকার মধ্যকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কারের পাশাপাশি খোলা রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আগতরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকা প্রায় দুই হাজার জেলে ইতিমধ্যে বনের বিভিন্ন নদী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বনের দুর্গম এলাকায় যেসকল বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদেরকে সুবিধাজনক পার্শ্ববর্তী অফিস ভবনে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন
নোয়াখালীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
চাঁদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
সাপাহারে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
X
Fresh