হোমিও চিকিৎসার আড়ালে রেক্টিফাইট স্পিরিটের ব্যবসা!
দিনাজপুরের বিরামপুরে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে অবৈধভাবে রেক্টিফাইট স্পিরিটের (অ্যালকোহল) ব্যবসা করার অভিযোগে সরকার হোমিও হল নামের একটি হোমিও চিকিৎসালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ সময় ওই চিকিৎসালয় থেকে ১৯টি কার্টুনে ৪ হাজার ১০৪ বোতল রেক্টিফাইট স্পিরিট (অ্যালকোহল) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সরকার হোমিও-এর সত্ত্বাধিকারী ডা. আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজিউল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান ও বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী মিথুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দিনাজপুর কার্যালয়ের পরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, বিরামপুরে বেশ কিছু হোমিও চিকিৎসালয়ে অবৈধভাবে রেক্টিফাইট স্পিরিট (অ্যালকোহল) বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকার হোমিও চিকিৎসালয়ে একটি বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ওই চিকিৎসালয় থেকে ১৯টি কার্টুনে ৪ হাজার ১০৪টি রেক্টিফাইট স্পিরিটের বোতল উদ্ধার করা হয়।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, উপজেলায় যুবকরা রেক্টিফাইট স্পিরিট জাতীয় (অ্যালকোহল) খেয়ে নেশায় জড়িয়ে যাচ্ছিল এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই রেক্টিফাইট বোতলগুলো জব্দ করা হয়। এছাড়াও উপজেলায় কোনও হোমিও চিকিৎসালয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেউও যেন এর অপব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলায় ৬ নং মাহমুদপুর গ্রামে বিষাক্ত রেক্টিফাইট স্পিরিট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় পল্লী হোমিও হল এর সত্ত্বাধিকারী ডা. আব্দুল মান্নানকে আটক করে বেশ কয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকার আব্দুল মতিন (২৭), আজিজুল ইসলাম (৩৩), মহসিন আলী (৩৮)। হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৩৫)। শহরের ইসলাম পাড়া এলাকার অমৃত রায় (২৫)। মাহমুদপুর এলাকার সোহেল রানা (৩০), মনোয়ার হোসেন (৪২) ও আব্দুল আলিম (৪০)।
এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আব্দুর সাত্তার (৩৭), হৃদয় (২১), জার্জেস শাহ (৩৮) ও শাহিন (৩২)। তারা সবাই পৌর শহরের মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা।
এজে
মন্তব্য করুন