আম্পানে বিধ্বস্ত বিশখালি নদীর বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অরক্ষিত বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছে এলাকাবাসীরা।
শনিবার (৩০ মে) সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই নদী তীরে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ক্ষতিগ্রস্ত এক শতাধিক মানুষ এ বেড়িবাঁধ সংস্কারে অংশ নেয়। লঞ্চঘাট এলাকার, ফসল, বসতঘর ও মাছের ঘের রক্ষা ও জোয়ারের পানি ঠেকাতে স্বেচ্ছায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বিষখালী নদী তীরের অরক্ষিত বেড়িবাঁধের পাঁচ কিলোমিটার ভেঙে ফসলি জমি ও বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। ঝড়ের রাতে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিলেও পানির তোরে ভেসে গেছে বসতঘরে থাকা মালামাল। পানিতে তলিয়ে যায় আমুয়া, আউরা জয়খালী, চিংড়াখালী, মশাবুনিয়া, হেতালবুনিয়া, কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, রঘুয়ার চর, আওরাবুনিয়া ও জাঙ্গালিয়া গ্রামের প্রায় দুইশত ঘরবাড়ি, তিনটি বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।
বর্তমানে কাঠালিয়া উপজেলার ২৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুরোটাই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে নদীর তীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদু, বিআরডিপি’র চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. কাওসার আহমেদ জেনিভ সিকদার, জেলা ইসলামী আনন্দোলনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা আহসান উল্লাহ খান সবুজ।
মানববন্ধনকারীদের একটাই দাবি সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদী শাসন করে বাঁধ নির্মাণ করার।
ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ওই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারো নদীর পানি বেড়ে গেছে। যেটুকও ফসল ভালো ছিল, তাও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন