ইভ্যালির গ্রাহকদের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইভ্যালিসহ অন্যান্য ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা পরিস্থিতি বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয় আজ বুধবার।
সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে দেনা-পাওনার হিসাব দিতে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া ইভ্যালিকে মূল্য পরিশোধ করেও যারা পণ্য পাননি কিংবা অন্য অভিযোগ রয়েছে, তাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সভা থেকে।
সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যদি কোনও গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করেন, তাহলে তার উচিত হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মামলা করা। তাহলে আমরা সিগন্যাল পাব, কী পরিমাণ কাস্টমার প্রতারিত হচ্ছে এবং কী ধরনের সমস্যা, কী ধরনের লায়াবেলিটিস তৈরি হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ইভ্যালি নিয়ে ইতোমধ্যেই ৬ হাজার ৭৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৬১২টি মামলা।
হাফিজুর বলেন, ‘যেসব মার্চেন্ট ইভ্যালিকে পণ্য দিয়েছেন, তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও উচিৎ হবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’
গেল ১৪ মার্চের এক হিসাব অনুযায়ী, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে মোট ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা চলতি সম্পদ ছিল। দেড় মাসের মধ্যে গ্রাহকের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম এসব টাকা নিয়েছে ইভ্যালি। এই পরিস্থিতিতে বছর পার হয়ে গেলেও তারা এখন পর্যন্ত পণ্য দিতে পারছে না। এমন অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ইভ্যালির কাছে চিঠি দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসার ধরন, সম্পদ দায়, গ্রাহকের দেনা, মার্চেন্টদের কাছে দেনাসহ বিভিন্ন তথ্যগুলো জানতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১ আগস্ট এসব তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও ইভ্যালি দিতে পারেনি।
এসএস
মন্তব্য করুন