• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আমিনুলের জীবনে আলো জ্বালালেন ইগলুর গ্রুপ সিইও

আরটিভি অনলাইন

  ০৩ জুন ২০২০, ২১:৪৪
Visually impaired Aminul, Igloo, Group CEO, GM Kamrul Hasan
জিএম কামরুল হাসান, আমিনুল ও আলামিন রাশেদ।

গাজীপুরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছোট্ট কিশোর আমিনুল। পরিবারের আর্থিক অনটন দৃষ্টির সাথে সাথে কেড়ে নিয়েছে সুন্দর শৈশবও। পড়াশোনার সাধ থাকলেও সাধ্য কখনোই ছিল না। এমনই এক কিশোরের জীবনে জ্বালালেন স্বনামধন্য আইসক্রিম ব্র্যান্ড ইগলুর গ্রুপ সিইও জিএম কামরুল হাসান ।

গতকাল রাতে ইগলুর ফেসবুক পেজে লাভগুরু খ্যাত এহতেশামের সঞ্চালনায় 'তুমি চাইলেই হাসবে দেশ' ক্যাম্পেইনের লাইভ প্রোগ্রামটি সম্প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় আব্দুল মোনেম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মোনেমকে স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে। এ সময় তার জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয়। ইগলুর গ্রুপ সিইও জনাব কামরুল হাসান আব্দুল মোনেমকে পিতৃতুল্য উল্লেখ করে তার জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করেন ও দেশবাসীর কাছ থেকে দোয়া প্রত্যাশা করেন।

এরপরই দর্শকের সামনে চলে আসে আমিনুল। যে ছেলেটি বর্তমানে আলামিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে তারই প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ছে। আলামিন রাশেদ নিজেও একজন প্রতিবন্ধী হাফেজ এবং সমাজের এরকম আরও অনেক ছাত্রকেই তিনি বিনামূল্যে কোরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ইগলুর গ্রুপ সিইও জিএম কামরুল হাসান সরাসরি দর্শকের সামনে আমিনুলের সাথে কথা বলে তার এক বছরের সমস্ত দায়িত্ব তুলে নেন। এ লক্ষ্যে তিনি নিজের বেতন থেকে আমিনুলের এক বছরের খরচের সমপরিমাণ ৬০ হাজার টাকা আলামিন রাশেদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

শুধু তাই নয় তিনি আলামিন রাশেদকে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত ৪০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় জিএম কামরুল হাসান বলেন, যে ছেলেরা আল্লাহর কোরআন পড়ছে তারা যেন কখনো কষ্টে না থাকে, আমি চাই আমিনুল হাফেজের নাম ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বব্যাপী।

ইগলুর গ্রুপ সিইও এরকম ছাত্রদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়াও হাফেজি শেষ করার পর আব্দুল মোনেম বিজনেস ডিসট্রিক্টের মসজিদে আমিনুলের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, আগের পর্বে জিএম কামরুল হাসান চাঁদপুরের তাহির মিজির পরিবারের সাহায্যার্থেও নিজের বেতন থেকে ৮০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। তিনবার স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে ঘরে বন্দি থাকা তাহের মিজির তিন ছেলে, প্রত্যেকেই বাক প্রতিবন্ধী। স্ত্রী শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ঘরে একজনও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। কোনো বেলা খাবার জোটে আবার কোনো বেলা জোটে না। পরিবারটি সারাক্ষণ পথ চেয়ে থাকে মানুষের একটু সাহায্যের জন্য। সেই তাহের মিজি ইগলুর সিইও কামরুল হাসানের সাহায্য পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।

শুধু তাহের মিজি একা নন, ইগলুর সহায়তায় হাসি ফুটেছে অন্ধ কণ্ঠশিল্পী ফজলু বয়াতি, মুন্সিগঞ্জের শংকর দাস, এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিকা, মোহাম্মদপুরের জয়ীসহ আরও অনেকের মুখে। এরমধ্যে ফজলু বয়াতিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি দেওয়া হয় দেশের স্বনামধন্য চ্যানেলে একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া পরীক্ষার্থী আনিকার একমাসের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার এবং জয়ীর চাকরি ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে ইগলু।

'তুমি চাইলেই হাসবে দেশ' ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইগলু সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে দেশের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। প্রতিদিনের হোম ডেলিভারি অর্ডার থেকে ৫% সহায়তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ইগলু। অনুষ্ঠানটি একযোগে লাইভে সম্প্রচারিত হয় প্রতি শুক্রবার এবং মঙ্গলবার রাত ১০ টায় ইগলু ফেসবুক পেজ থেকে।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • করপোরেট কর্নার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh