• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মোট আমদানির বড় অংশ আসে চীন থেকে। গত অর্থ বছরে (২০২২-২৩) চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলার। মোট আমদানির যা ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এর বিপরীতে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে দেশটি থেকে ২ হাজার ৮৮ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছিল, যা ছিল মোট আমদানির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।  এবার মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে এবার চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়নায় অ্যাকাউন্ট খুলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেনের বার্তা প্রেরণে সুইফটের আদলে গড়ে ওঠা চায়নার সিআইপিএসে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ চীনের মাধ্যমে পরিশোধ করা। গত ৫ থেকে ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। এ সময় তারা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অ্যাকাউন্ট খোলা ও লেনদেনের বার্তা প্রেরণের মাধ্যম দ্য ক্রসবর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমে (সিআইপিএস) যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, ফ্রান্সসহ ১১টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ‘নস্ট্রো’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়। চীনের সঙ্গে লেনদেন নিষ্পত্তিতে বেশি ব্যবহার হয় এইচএসবিসি। অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ লেনদেন হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেরও বেশির ভাগ রক্ষিত আছে সেখানে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) বার্তা পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হলেও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। তবে চীনের মুদ্রা ইউয়ান অফিসিয়াল কারেন্সি হওয়ার পর সরাসরি আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কেউ ইউয়ানে এলসি নিষ্পত্তি করতে চাইলে করতে পারে। এখন দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি যেন নিষ্পত্তি করতে পারে, সে জন্য এ রকম সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এবিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিকল্প মুদ্রা প্রচলনের চেষ্টা ভালো উদ্যোগ। তবে বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন নিষ্পত্তিতে কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অনেক দেশ মিলে করতে পারলে কার্যকর হবে।’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাইরে বড় অর্থনীতির কয়েকটি দেশ বেশ আগে থেকে ডলারের প্রভাব কমিয়ে বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন চালুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া ও চীন। সম্প্রতি ভারতও নিজেদের মুদ্রা শক্তিশালী করতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশকে রাশিয়া তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব লেনদেনের বার্তা প্রেরণ ব্যবস্থা ফাইন্যান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেমে (এসপিএফসি) যুক্ত করার জন্য ২০১৬ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এর আগে ২০১৮ সাল থেকে চীনের মুদ্রায় এলসি খোলার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার গত বছরের জুলাই থেকে ভারতের সঙ্গে সরাসরি রুপিতে লেনদেন নিষ্পত্তির একটি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। 
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান  / বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা
চাপে আছে মার্কিন ডলার, কমছে মান 
বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্য পণ্যের দাম: জাতিসংঘ
বিশ্ববাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে স্বর্ণ
অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে রাশিয়া। সেখান থেকে আরও গম আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশে ২.৭ মিলিয়ন টন গম রপ্তানি করেছিল রাশিয়া।  এছাড়া বাংলাদেশে সার রপ্তানিও বাড়িয়েছে দেশটি। পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ায় পরিশোধিত করার পর বাংলাদেশ বর্তমানে রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে জড়িত। রাশিয়ার আর্থিক সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের মধ্যেই প্লান্টের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জোর আশা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের প্রায় ৮৫% কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ওই স্থাপনার জন্য মস্কো ১১.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।  রাশিয়ান বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকও আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন রুশ কূটনীতিকরা। রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাংলাদেশসহ ব্যবসার নতুন উৎস খুঁজছে রাশিয়া। এখানে রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন আলেকজান্ডার মানটিটস্কি। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্পেস টেকনোলজি, জিওলজিক্যাল সার্ভে, মেরিটাইম, রেলওয়ে এবং এয়ার ট্রান্সপোর্টেশনে যৌথ উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট থেকে বাদ পড়ে। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পেমেন্ট সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে বিকল্প না থাকায় রাশিয়ার পক্ষে অন্যান্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম নামক পেমেন্ট সিস্টেমে রাশিয়াকে যুক্ত করে চীন। সিআইপিএস সিস্টেমটি এখন অন্যান্য দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে পরিণত হয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশের পেমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চীনের মুদ্রা ইউয়ান। রিয়েল-টাইম গ্রস সিস্টেমভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ক্লিয়ারিংয়ে এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, বাংলাদেশের জন্য সিআইপিএস-এর সাথে সংযুক্ত হওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন রাশিয়ান পর্যবেক্ষক এবং বাংলাদেশি বিশ্লেষকরা। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তারা। রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সের ইন্সটিটিউট অফ ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো আলেক্সি জাখারভ জানিয়েছেন, চীনের সম্পৃক্ততা ছাড়া রাশিয়ার পক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার সাথে তার আর্থিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল। এই অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার কৃষি বা জ্বালানি নিয়ে লেনদেনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সিআইপিএস-এর মাধ্যমে চলে। চীনের আর্থিক অবকাঠামোর বর্ধিত ব্যবহার এখন রাশিয়ান অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোর লাইফলাইন হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন আলেক্সি জাখারভ। কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিআইএস-বিসিসিআই) অনারারি উপদেষ্টা মাহবুব ইসলাম রুনু বলেন, ‘সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সাথে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে চীন বা ভারত এখানে বাংলাদেশের সহযোগী হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশে শাখা স্থাপনের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করতে মস্কোতে চীনা ও ভারতীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম
চলতি মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দরে বড় উত্থান ঘটেছে। ইতোমধ্যে ধাতুটির দাম গত ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি। সিএনবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জুনে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দাম হয়েছে ২০৮৬ ডলার ২১ সেন্ট। গত বছরের ডিসেম্বরের পর যা সবচেয়ে বেশি। এটা দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দাম নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০৪৬ ডলার ২৯ সেন্টে। অর্থাৎ ১ দিনের ব্যবধানে আউন্সে দর ঊর্ধ্বগামী হয়েছে প্রায় ৪০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা। এ নিয়ে টানা ২ সপ্তাহ বেঞ্চমার্কটির দর বাড়ল। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টিডি সিকিউরিটিজের পণ্য কৌশলের প্রধান বার্ট মেলেক বলেন, বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম।  চলমান বছরের মাঝামাঝিতে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। এমন পরিস্থিতিতে ডলার সূচক এবং ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে  আগামী ৩ থেকে ৪ মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে স্বর্ণের দর।
উন্নয়নশীল হলেও বাংলাদেশ শুল্ক সুবিধা পাবে আরও ৩ বছর
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম উঠলেও তিন বছর শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের নাম।  সংস্থাটির ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে এমন শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার একই সিদ্ধান্ত নিল জাতিসংঘ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আবুধাবিতে ডব্লিউটিওর ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি অর্জনের পরও কিছু দেশের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখতে রাজি হন। বাংলাদেশসহ বিশ্বে এখন স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ৪৫টি। এর মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় আছে বাংলাদেশসহ ছয় দেশ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসিভুক্ত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের বিষয়ে সুপারিশ করে। নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের পর বিশ্বের বেশিরভাগ বাজারেই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। তবে গত অক্টোবরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানায়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে সহায়তার অংশ হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। গত শুক্রবার শেষ হওয়া ডব্লিউটিও সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় বলা হয়, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় রপ্তানি পণ্যের জন্য স্বল্প বা শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করবে। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ডব্লিউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি সমঝোতার ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণার দিন থেকে সেসব দেশ পরবর্তী তিন বছর এ সুবিধা পাবে। এ ছাড়াও, সেসব দেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় তিন বছর পর্যন্ত কারিগরি সহায়তা পাবে।
বিশ্ববাজারে কমে চলেছে সয়াবিনের দাম 
বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম আরেক দফা কমে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) ভোজ্যতেল তৈরির মূল উপকরণটির মূল্য গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে আরও নেমে যাবে সয়াবিনের দাম।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। সয়াবিনের এই দরপতনের কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে এই মূহুর্তে সয়াবিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তার উপর রপ্তানি আরও বাড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল। কারণ, দেশটিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। ফলে চাপে পড়েছে পণ্যটির বৈশ্বিক বাজার।  আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সয়াবিনের সরবরাহ মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি বুশেল (৩৫.২৪ লিটার) তেলের দাম স্থির হয়েছে ১১ ডলার ৪০ সেন্টে।  বিশ্বখ্যাত কৃষি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এপিসোড থ্রি’র বিশ্লেষক এন্ড্রৃ হোয়াইট ল’ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে প্রভৃতি) থেকে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পণ্যটির বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। চলতি মৌসুমে ব্রাজিলে সর্বমোট ১৫৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে। যা গত বছরের রেকর্ডের কাছাকাছি। প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাতেও এই তেলবীজের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।   
স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে
আন্তর্জাতিক বাজারে গত কিছুদিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল স্বর্ণের দাম। একপর্যায়ে বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল তা। অবশেষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এসে দর কমেছে স্বর্ণের। মূলত মার্কিন ডলারের মান বেড়ে যাওয়ায় স্বর্ণের এই দরপতন হয়েছে। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বুলিয়ন বাজার সমর্থন পেয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল স্বর্ণের দাম। কিন্তু ইউএস ডলার তার শক্তি ফিরে পেতে থাকায় সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দর কমেছে। অবশ্য শিগগিরই সুদের হার কমাতে চাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। কারণ, দেশটির অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেখানে।   সোমবার স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ২০৩২ ডলার ৩ সেন্টে। একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৪১ ডলার ৫ সেন্টে। বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেসিএমের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, নতুন সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ববাজারে দর হারিয়েছে স্বর্ণ। কারণ, ডলারের মূল্যমান বেড়েছে। তবে এখনও ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ দূর হয়নি। ফলে বিনিয়োগকারীদের রাডারেই থাকছে স্বর্ণ। তাদের কাছে মূল্যবান ধাতুটির আবেদন রয়েছে। তাই সহসাই স্বর্ণের দর একেবারে পড়ে যাবে বলে মনে হয় না। 
ডব্লিউটিও সম্মেলন সোমবার, কী চায় বাংলাদেশ? 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্মেলনে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটবে, এমন প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দুই বছর পর পর ডব্লিউটিও’র সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি ও মৎস্য খাতের ভর্তুকি, মেধাস্বত্ব সুবিধা, ই-কমার্স এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের সম্মেলনে।  আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে আমরা বাংলাদেশের জন্য কোনও নির্দিষ্ট বিষয় আলাদাভাবে ফোকাস করছি না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তীতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও মেধাস্বত্তসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা যেন আরও কয়েক বছর অব্যাহত থাকে, এটা আমরা চাচ্ছি।’ তিনি জানান, এলডিসি হিসেবে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহযোগিতা ও ডিসপুট সেটেলমেন্টের যে সুবিধা পাওয়া যায়, উত্তরণের পরেও কয়েকবছর এই সুবিধা বহাল রাখতে চাই। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জোরালো দাবি রাখবে। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতে মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুবিধা বহাল রাখার বিষয়টিও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।     
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ ফেব্রুয়ারি)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা ইউ এস ডলার ১২২ টাকা ২ পয়সা ইউরোপীয় ইউরো ১৩১ টাকা  ৩৫ পয়সা ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫২ টাকা  ৬০ পয়সা ভারতীয় রুপি ১ টাকা ২৯ পয়সা  মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৫ টাকা ৩৫ পয়সা সিঙ্গাপুরের ডলার ৮৯ টাকা  সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা ২৭ পয়সা কানাডিয়ান ডলার ৮৮ টাকা  অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৮ টাকা ৯০ পয়সা   কুয়েতি দিনার ৩৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।