আজানের বাণী কর্কশ-জুলুম-গুণ্ডাগিরি : সনু নিগম
সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকের মঙ্গল করুন। আমি মুসলিম নই, কিন্তু প্রতি সকালে আজানের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। ভারতে ধর্মের নামে এ জুলুমের শেষ হবে কবে?
সোমবার ভোরে নিজের টুইটারে এসব কথা লিখেছেন ভারতীয় গায়ক সনু নিগম।
এখানেই থামেননি সনু। পরের টুইটে তিনি লিখেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেন, তখন বিদ্যুৎ ছিল না। এডিসনের (টমাস আলভা এডিসন) বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে আমাকে কেনো এই কর্কশ শব্দের শিকার হতে হবে?
তিনি আরো লিখেছেন, আমি কোনো মন্দির বা গুরুদুয়ারায় ধর্মের অনুসারীদেরকে জাগাতে বিদ্যুতের ব্যবহারে বিশ্বাস করি না।
সবশেষ তিনি একে গুণ্ডাগিরি বলেও উল্লেখ করেন।
মাইক্রো ব্লগিং সাইটে সনুর এই টুইট সিরিজ এরইমধ্যে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে উঠে গেছে। অনেকেই তার সমর্থন করে মন্তব্য করছেন। অনেকেই তাকে কটাক্ষ করছেন।
সনুকে সমর্থন করে কুমার প্রিয়দর্শী (Kumar Priyadarshi) টুইট বার্তায় বলেছেন, ধর্ম একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক্ষেত্রে একজনের উচিত নয় লাউডস্পিকার বা বোমার সাহায্যে আরেকজনকে বাধ্য করা।
সনু একটি যৌক্তিক পয়েন্ট তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে শৈলেশ ঝা (Shailesh Jha) লিখেছেন, মসজিদ, মন্দির, গুরুদুয়ারা ও অন্যান্য জায়গায় লাউডস্পিকার ব্যবহার করা উচিত নয়।
নিকিতা গুপ্ত (Nikita Gupta) নামের এক ভারতীয় লিখেছেন, সনু নিগম কি মাতা রানি ভজনকে চেনেন? তিনি প্রতি হিন্দু মহল্লায় গান গেয়ে সরল বিশ্বাসী ও স্কুলগামী বাচ্চাদেরকে মানসিক আঘাত করেন।
অশোক সোয়াইন (Ashok Swain) লিখেছেন, সনু নিগম যদি মিথ্যা না বলে থাকেন, তবে তার উচিত হবে কানের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
কে/ এমকে
মন্তব্য করুন