য়ুসোফ কবিগানের সাধক, তার কবিতা, ভাব সবকিছুর উদয়স্থল মেহের নিগার। মেহের নিগার তার স্বপ্নে পাওয়া ধন। য়ুসোফ সুদূর ওয়াজিবিস্থানের পাহাড় থেকে গানের তালিম নিতে এসেছে। মেহের নিগার যেন সারাক্ষন য়ুসোফের চারপাশে ঘুরে। একদিন য়ুসোফ মেহের নিগারের পথ রোধ করে দাড়ায়। সেদিন সে বুঝতে পারে তার স্বপ্নের মেহের নিগার এই পৃথিবীতেই বাস করে। আর মেহের নিগারকে পেতে তাহলে তার কোনো বাধা নেই। য়ুসোফ মেহের নিগারকে ভালোবেসে আপন করে পেতে চায়।
কবি মনের বিচিত্র খেলা ভেবে গুলশান প্রথমে নিজের পরিচয় গোপন করে তার সঙ্গে মেলামেশা করে। যখন গুলশান বুঝতে পারে য়ুসোফ তার স্বপ্নের মেহের নিগারের স্থানে গুলশানকে বসাতে চাচ্ছে তখন সে পালিয়ে বাঁচতে চায়। কারণ, এতদিনে সেও কবিকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। একসময় শুলশান সত্যি কথাটা বলে, সে খুবই নগন্য, সে অপবিত্র, সে নষ্ট। তার কোনো যোগ্যতা নেই কবির মেহের নিগার হয়ে ওঠার। কবি বার বার তাকে মেহের নিগার ভাবতে চায় কিন্তু গুলশানের এক কথা, সে মেহের নিগার নয়। সে কবিকে ঠকাতে পারবে না। গুলশান চলে যায় এক বুক ব্যথা নিয়ে। এইদিকে কবি ঠিক করে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেবেন তিনি। মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কবি মেহের নিগারকে ভুলতে।
সেদিন কবিদের দল এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে। কবি কি মনে করে গুলশানের বাড়ি যায় তার কাছে বিদায় নিতে। একি বাড়ি ফাকা, খা খা করছে। বাড়ির পাশে একটি নতুন কবর। তার ফলকে লেখা-
আমার জীবন ধন্য
কেননা আমি একজনের ভালবাসা পেয়েছিলাম
যার অন্তরাত্মার সাথে আমার আত্মার যোগ ঘটে
যেমন সীমান্তে আকাশ আর জমিনের মিলন ঘটে
ঠিক তেমনি
তেমনই উৎকর্ষ এই মিলনের।
এই গল্পেই য়ুসোফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ আর গুলশান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে বিশেষ এই নাটকটি প্রচার হবে আরটিভিতে বিকাল ৫টায়। শুভ্র খানের পরিচালনায় এর নাট্যরূপ দিয়েছেন শ্রাবণী ফেরদৌস।