• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমি ভালো নাই: সুজানা জাফর

গাজী আনিস

  ৩১ মার্চ ২০২০, ১৬:২৪
করোনাভাইরাস, লকডাউন, অভিনেত্রী, সুজানা জাফর
সুজানা জাফর। ছবি অভিনেত্রীর কাছ থেকে পাওয়া।

মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর। দেশীয় শোবিজে আছে তার অনন্য অবস্থান। মডেলিং, নাটক, মিউজিক ভিডিও তিন মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন। তবে বর্তমানে মিডিয়াতে খুব একটা সরব নন। নিজের ব্যবসা নিজেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বের এই সংকটময় মুহূর্তে বেশ চিন্তিত অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে সুজানা জাফর দুবাইতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে চেষ্টা করছেন অসহায়-সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের সহযোগিতা করার। প্রার্থনা করছেন অশুভ এই সময়ের অবসানের জন্য। সার্বিক বিষয় নিয়ে মোবাইলফোনে কথা বলেছেন আরটিভি অনলাইনের সঙ্গে।

ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য অভিনেত্রীর ফোনালাপ তুলে ধরা হলো-

কেমন আছেন, কী খবর?

-দেশের এই পরিস্থিতিতে আমি ভালো নাই। সবার জন্য খারাপ লাগছে। আমার পরিবার নিয়েও চিন্তায় আছি। কারণ আমাদের দেশে এখনও করোনাভাইরাস নিয়ে অনেকেই সিরিয়াস না। আমরা হয়তো অনেকেই ভালো থাকব, দিন চলে যাবে কিন্তু চিন্তা হচ্ছে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য। অনেকেই নিয়মকানুন মানছেন না। বিশ্বের অবস্থা খারাপ। জানি না কী হবে। আল্লাহ ভরসা।

নিজ থেকে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?

-আমি এই মুহূর্তে দুবাই আছি এখান থেকে সশরীরে হয়তো কিছু করতে পারছি না তবে আমার অনেক পরিচিত মানুষ আছেন যাদের নিয়ে প্রতিবন্ধীদের, অসহায়দের জন্য কাজ করি। আমি দুবাই থেকে তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমাদের বাসায় কাজের মানুষ, আমার ফ্যাক্টরিতে যারা বুটিকের কাজ করেন আমি সবার ছুটি দিয়ে দিয়েছি। আমি চাই না তারা সমস্যায় পড়ুক। আমি প্রত্যেকের বেতনও দিয়েছি। এছাড়া আমি তাদের অনেক আগে থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে শিখিয়েছি। বার বার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবহার শিখিয়েছি।

প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে সুজানা।

বিভিন্ন গণমাধ্যম লিখেছে আপনি দুবাইতে আটকা পড়েছেন?

-আসলে আমি আটকে পড়িনি। আপনার সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথা হয়েছে, আপনি জানেন ব্যবসার কাজে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে প্রায় দুবাই আসি কিছুদিন থেকে আবার দেশে ফিরি। আমি দুবাইয়ের রেসিডেন্ট। এবার আমি যেদিন দুবাই আসি তার পরদিন ফ্লাইট বন্ধ হয়। তবে ফ্লাইট যদিও খোলা থাকত আমি ঢাকায় যেতাম না। কারণ আমি চাই না আমার জন্য অন্যদের সমস্যা হোক। এই সময় আমরা যে যেখানেই আছি সেখানে অবস্থান করা উচিৎ। পরিবার ও দেশের নিরাপত্তার জন্য আমার যখন মনে হবে দেশে যাওয়া ঠিক আমি তখনই দেশে যাব, যখন মনে হবে এখন দেশে যাওয়া ঠিক হবে না, যাব না।

বাসায় সারাদিনের রুটিন কী?

-পরিবারকে সময় দেয়া। রান্না করা। ইবাদত করা। অনেকেই বলছেন বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হচ্ছেন। আমি মোটেও তা মনে করি না। আমাদের এখন উচিৎ আল্লাহকে স্মরণ করা। কুরআন পড়ে এভাবেই দিন কেটে যাবে।

ছোট থেকেই কি নামাজ ও কুরআন পড়েন?

-হ্যাঁ। ক্লাস সিক্সে আমি প্রথম কুরআন খতম দেই। বাবা-মা বিষয়টি নিয়ে খুশি হন। আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, ধর্ম পালন করি। ধর্ম নিয়ে পড়ালেখার চেষ্টা করি। মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দেই। চেষ্টা করি মানুষকে সহযোগিতা করার। দুবাইতে এসে আমি যখন ঘুরতে বের হই নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েই বের হই। নামাজের সময় হলে গাড়িতে নামাজ পড়ি, মসজিদে নামাজের সুযোগ থাকলে সেখানে পড়ি। আমার নতুন নতুন মসজিদে নামাজ পড়ার বেশ সখ। যেহেতু এখন লকডাউন চলছে এবার ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারছি না।

দেশের মানুষ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য কিছু বলুন

-সবার জন্য নিবেদন থাকবে, আমরা শুধু নিজেদের চিন্তা না করে সবাই সবার জায়গা থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। শুধু নিজেরা নিজেদের জন্য খাবার গুদামজাত করে ভাবলাম আমরা বাসায় আছি সমস্যা না খাবার আছে। এটা ভাবলে চলবে না। সবাইকে নিয়ে বাঁচতে হবে। সবাই ভালো থাকা মানে আমি ভালো থাকা।

জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া
মায়ের বান্ধবীকে বিয়ে, অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে যা লিখলেন বিরসা
সৃজিতের বিরুদ্ধে অভিনেত্রীকে বডি শেমিংয়ের অভিযোগ
দুর্ঘটনায় অভিনেত্রীর হাতের দুটো হাড় ভেঙে গেছে (ভিডিও)
X
Fresh