রিকশা চালক বাবা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণ করে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৃশংস এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সীতাপুরের মিশরিখ এলাকায়। এ ঘটনার পর ওই দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে। দ্রুত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। তাঁর শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ।
আরও পড়ুন : গ্রামে পুরুষ নেই, তবুও গর্ভবতী হয় নারীরা!
সীতাপুরের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আরপি সিং বলেছেন, জরুরি নাম্বার ১১২-এ ফোন করে তাদের কাছে খবর দেয়া হয়। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বলেন, ৩০ বছর বয়সী ওই নারী ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির রিকশায় উঠেছিলেন। এরপরই তার উপরে চড়াও হয় অভিযুক্ত। তিনি এবং তার ছেলে মিলে ধর্ষণ করে নারীকে। পরে তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ দুই অভিযুক্তকেই আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরপি সিং আরও বলেন, নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। ওই নারীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেলেও আপাতত ওই নারী বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : যে পাঁচ লক্ষণ দেখেই বুঝবেন সঙ্গী পরকীয়ায় আসক্ত
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনামলে সেখানে নারীর নিরাপত্তা ক্রমেই খারাপ হয়েছে। এই কয়েক বছরে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ